জ্যান্ত মাছ খেলে কমবে হাপানি!

খেতে হবে জ্যান্ত মাছ। জ্যান্ত মাছের প্রসাদ খেলেই কমে যাবে হাঁপানি রোগসহ শ্বাস–প্রশ্বাস সংক্রান্ত নানা সমস্যা। ১৭৩ বছরের পুরনো পদ্ধতিতেই তৈরি করা হয় জ্যান্ত মাছের এই প্রসাদ। অবাক হলেও বিষয়টি সত্য।

ভারতের তেলঙ্গানা সরকারের সমর্থন পাওয়ার পরই এই চিকিৎসা পদ্ধতি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। গত শুক্রবার এই মাছের প্রসাদ বিতরণ করা হয় ৩৪টি কাউন্টারের মধ্য দিয়ে। জানা গেছে বিতরণের কাজ শনিবারেও চলে বলে।

ভারতে হায়দরাবাদের নামপল্লি প্রর্দশনী মাঠে শুধু এই কাঁচা মাছের প্রসাদ খেতে হাজির হয়েছে গোটা দেশের মানুষ। তাদের বিশ্বাস এই মাছের প্রসাদেই সেরে যেতে পারে সব দুরারোগ্য ব্যাধি।

১৭০ বছরের এই প্রাচীন রোগ নিরাময় পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন বৈথিনী পরিবার। পরিবারটি প্রতি শুক্র ও শনিবার করে এই মাছ প্রসাদ বিনামূল্যে হাজার হাজার মানুষের মাঝে বিতরণ করেন বলে জানা গেছে- এনডিটিভির প্রতিবেদনে।

আরও পড়ুন: পাইলস অপারেশন কি বারবার করতে হয়?

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এই ওষুধ ১৭৩ বছরের পুরোন পদ্ধতি মেনে তৈরি করা হয়। যদিও বৈথিনী পরিবারকে বিভিন্ন বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এটা কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়। এর পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নেই।

যদিও বৈথিনী পরিবারের দাবি, ‘চ্যাং’ মাছের প্রসাদ খেয়ে অনেকেরই হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

সম্পূর্ণভাবে রোগ নিরাময়ের জন্য রোগীদের তিন বছর অন্তর অন্তর এই প্রসাদ খাওয়ার জন্য আসতে বলেন তিনি।

এই মাছের প্রসাদ বিতরণকারী বৈথিনী গৌড় পরিবার এ বছর এই প্রসাদ বানানোর জন্য রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ‘চ্যাং’ মাছ কিনেছে।

তবে কৌতুহলী এই কাঁচা মাছের প্রসাদ কী? ‌এই প্রশ্ন মনে আসাটাই স্বাভাবিক। জানা গেছে,‘চ্যাং’ মাছের সঙ্গে ভেষজ ওষুধের সংমিশ্রণে এই মাছের প্রসাদ তৈরি করা হয়। এরপর ওই ভেষজ সহ জীবন্ত মাছটিকে একেবারে মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নিরামিষভোজীদের ক্ষেত্রে গুঁড়ের সঙ্গে ভেষজ ওষুধ মিশিয়ে তা খাওয়ানো হয়।